সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জনপ্রিয় ৮টি সফটওয়্যারের ফ্রী বিকল্প



মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, এম এস অফিস, এডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, প্রিমিয়ার প্রো, আফটার ইফেক্ট সহ নানা সফটওয়্যার আমরা ব্যবহার করছি প্রতিনিয়তই। আজকে চলুন জেনে নেয়া যাক এদের জনপ্রিয় কিছু বিকল্প। ইংরেজিতে এসবের ভালো রিসোর্স থাকলেও নেই বাংলায়। তাই আমার এই ছোট্ট প্রচেষ্টা।



১. এডোবি ফটোশপ

এর জনপ্রিয় একটি বিকল্প হচ্ছে GIMP(গিম্প)। এডোবি ফটোশপের প্রয়োজনীয় সকল টুলস পাবেন এই সফটওয়্যারে। সাধারণ সব কাজের জন্য গিম্প এর তুলনা হয় না। আর এটি চালাতে আপনার খুব ভালো হার্ডওয়্যার থাকা লাগবে না, যেমনটি লাগে ফটোশপ চালাতে হলে। সবচেয়ে মজার বেপার হল এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ফটোশপের মত আর ক্রেক করা লাগে না। গিম্প উইন্ডোজ, লিনাক্স এবং ম্যাকেও চলে।

ডাউনলোড গিম্পঃ www.gimp.org



২. এডোবি ইলাস্ট্রেটর


ভেক্টর গ্রাফিক্স বা আঁকা-আঁকির জন্য চমৎকার একটি সফটওয়্যার হচ্ছে এডোবি ইলাস্ট্রেটর। তবে প্রফেশনালরাও কিন্তু এর পরিবর্তে ইঙ্কস্পেস (Ink Space) ব্যবহার করছে আজকাল। আঁকার জন্য ইঙ্কস্পেস খুবই ভাল একটা সফটওয়্যার। ইলাস্ট্রেটরের প্রায় সকল সুবিধাই উপভোগ করা যায় ইঙ্কস্পেস এ। এটিও একটি ওপেনসোর্স সফটওয়্যার। যার কোন মূল্য আপনাকে পরিশোধ করতে হবে না।


ডাউনলোড ইঙ্কস্পেসঃ  inkscape.org

৩. এম এস অফিস


এ সম্পর্কে আর বলছি না। এর বিকল্প হিসাবে অনেক অফিস স্যুইট পাওয়া যায়। তবে Libre Office(লিবরা অফিস) এবং Open Office (ওপেন অফিস) এই দুটি জনপ্রিয়। এম এস অফিসের সকল সুবিধাই পাওয়া যায় এগুলোয়। তবে ইউজার ইন্টারফেসে আইকনগুলো একটু ভিন্ন। দুই-একদিন চালেই আয়ত্ত করা যায়।


ডাউনলোড লিবরা অফিসঃ  www.libreoffice.org


ডাউনলোড ওপেন অফিসঃ

৪. উইন্ডোজ


কম্পিউটার মানেই উইন্ডোজ ১০, উইন্ডোজ ৭, ঊইন্ডোজ ৮, উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ অমুক, উইন্ডোজ তুমুক। কিন্তু এই উইন্ডোজ এর বাইরেও যে কতশত অপারেটিং সিস্টেম আছে তা কয়জনই বা জানে। “এর ও আবার বিকল্প হয়?” অনেকেই এই প্রশ্ন করছেন। উইন্ডোজের রয়েছে হাজার হাজার বিকল্প হয়তবা আরো বেশি। এগুলো নিয়ে এক লাইন করে লিখলেও একটা বিশাল পাণ্ডুলিপি হয়ে যাবে। লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে গরে উঠা কিছু জনপ্রিয় ডিস্ট্রো বা অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে উবুন্টু, ডেবিয়ান, লিনাক্স মিন্ট, ফেডোরা, আর্চ ইত্যাদি। এ সম্পর্কে আরও জানতে একটি বইয়ের লিঙ্ক দিচ্ছি পড়ে নিতে পারেন। তবে নতুনরা লিনাক্স মিন্ট অথবা উবুন্টু দিয়ে শুরু করতে পারেন।



আরে এন্টিভাইরাস নিয়ে তো কিছু বললাম ই না। কম্পিউটার স্লো, ভাইরাসের আক্রমণ, ম্যালওয়ারের ভয়ে সফটওয়্যার ইন্সটল দেন না। আর দেরি না করে আজই ফেলে দিন আপনার পুরনো কম্পিউটার। না ভাই, ফেলে দেয়া লাগবে না লিনাক্স ভিত্তিক যেকোন ডিস্ট্রোতে পরিবর্তন করুন জানালাকে(Windows)। উবুন্টু, মিন্ট, ডেবিয়ান ইত্যাদি একটা তেও এন্টিভাইরাস লাগে না। ভাইরাস কাজ করাতেও আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে হবে। আর সবসময় নতুনের মত স্বাদ, নো স্লো। বইটি পরে নিন একটু কষ্ট করে তাহলে আমার চেয়েও ভাল বলতে পারবেন।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গুগল প্লাস

টেক জায়ান্ট গুগল ইন্টারনেটের প্রায় সকল ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। কিন্তু ২০১৯ এ এসে তাদের বন্ধ করে দিতে হচ্ছে গুগল প্লাস সেবা। মূলত ব্যাবহারকারীর স্বল্পতা এবং সে অনুপাতে প্রোডাক্টটির দেখাশোনা ও ব্যাবহারকারীর রুচি বিবেচনা করে এর উন্নয়ন বজায় রাখা গুগলের পক্ষে চালেঞ্জিং হয়ে দারিয়েছে। তাই চলতি বছরের ২রা এপ্রিল বন্ধ করে দিবে গুগল প্লাস। ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ থেকেই নতুন ব্যাবহারকারী আর যোগ হতে পারবে না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে। তবে সকল ছবি এবং তথ্যাদি গ্রাহকরা ডাউনলোড করে নিতে পারবে এপ্রিল পর্যন্ত।